কাঁচাবাজারে স্বাভাবিকভাবে স্বস্তি ফিরছে

প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর, ২০১৮ ০১:২১:২১

কাঁচাবাজারে স্বাভাবিকভাবে স্বস্তি ফিরছে

পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে রাজধানীর কাঁচাবাজারে হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল কাঁচা মরিচের দাম। তবে ধর্মঘট শেষ হওয়ার দুই দিনের মধ্যেই আবার স্বাভাবিক হয়েছে মসলাজাতীয় এ পণ্যের দাম।  পরিবহনব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় কাঁচা মরিচে স্বস্তি ফিরেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

শুধু কাঁচা মরিচই নয়, সরবরাহ কমে যাওয়ায় ধর্মঘটে সব ধরনের সবজির দাম ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল।  এগুলোর দামও আবার কমে এসেছে।  এ ছাড়া আগের তুলনায় শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দামও কমে আসতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, গত রবি ও সোমবার আট দফা দাবিতে সারা দেশে ধর্মঘট পালন করে সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা।  ধর্মঘটের মধ্যে রাজধানীর বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম উঠে ১৫০-১৬০ টাকায়, যা পাইকারিতে ছিল ৯০-১০০ টাকা।

রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে খুচরা বিক্রেতারা ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি করছে ১৫-২০ টাকায়।  সে হিসাবে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকার মধ্যে।  কেজি হিসাবে কিনলে আরো কিছুটা কমে কিনতে পারছে ক্রেতারা। পাইকারি বাজারের ফড়িয়া বিক্রেতারা প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করছে ৩০-৪০ টাকায়।

পাইকার ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল জানান, ধর্মঘটের মধ্যে পরিবহন সংকটে কাঁচা মরিচের সরবরাহ একেবারেই কম ছিল, যে কারণে দাম দ্বিগুণ হয়েছিল।  এখন সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় দাম আগের অবস্থাতেই ফিরে গেছে।

সবজির বর্তমান বাজার এখনো তুলনামূলকভাবে একটু চড়া।  শীতকালীন কিছু কিছু সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে, ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দামও কমেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ফুলকপি ও বাঁধাকপির সরবরাহ বেড়েছে।  এতে করে দামও কিছুটা কমতির দিকে।  মাঝারি সাইজের প্রতিটি ফুলকপি ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে।  সরবরাহ বাড়ার কারণে এগুলো বাজারভেদে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।  বাঁধাকপির দামও ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

কাঁচাবাজারের বিক্রেতা আরিফ মিয়া জানান, এক সপ্তাহ আগে ফুলকপি কম ছিল।  দুই দিন ধরে পাইকারি বাজারে প্রচুর ফুলকপি আসছে।  এ কারণে দামও একটু কম।  এই বিক্রেতা প্রতিটি ফুলকপি ৪৫ টাকা করে বিক্রি করছেন বলেও জানান।

দেশি জাতের নতুন শিম বাজারে এসেছে।  এগুলো ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  মাসখানেক ধরে যে শিম বাজারে বিক্রি হচ্ছিল তা ১০০ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।  তবে নতুন শিমের সরবরাহ খুব বেশি নয়।  সপ্তাহখানেকের মধ্যে শিমের সরবরাহ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন পাইকারি বিক্রেতারা।

শীতকালীন নতুন বেগুন বাজারে পাওয়া গেলেও দাম আগের মতোই চড়া।  প্রতি কেজি বেগুন ৫০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।  এ ছাড়া নতুন আসা পণ্যের মধ্যে রয়েছে খুব ছোট ছোট পাতা পেঁয়াজ।  তবে দাম খুব চড়া।  প্রতি কেজি পাতা পেঁয়াজ ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  এ পণ্যের সরবরাহ খুব কম বলে জানা গেছে।

সবজির আড়তদার কামাল হোসেন বলেন, ‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রচুর সবজি বাজারে আসবে।  তখন সব সবজিরই দাম কমে যাবে।  এখন কিছু কিছু জায়গার শীতের সবজি উঠতে শুরু করেছে মাত্র। ’

তবে খুচরা বাজারে কমেনি ডিমের দাম।  খামারের মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকা দরে।  স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজের বাজারও।  প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা।  আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।  তবে দুটি মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে, যাতে করে এ সপ্তাহে কিছুটা বাড়তি খরচ হবে ক্রেতাদের।  দেশি রসুনের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৬০-৭০ টাকা এবং আদার দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১৪০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ