ভালোবাসা ও ভাঙ্গন

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর, ২০১৮ ০৪:২০:১৬ || পরিবর্তিত: ২৫ অক্টোবর, ২০১৮ ০৪:২০:১৬

ভালোবাসা ও ভাঙ্গন

মাঝে মাঝে অনেক হাসি পায়। ৭ম আর ৮ম শ্রেণীর মেয়ে গুলা রিলেশনের ব্যাপারে আলোচনা করে।

তার চেয়েও বেশী হাসি পায়। ছেলেগুলা সারাদিন গার্লস স্কুলের সামনে আর কলেজের সামনে দাড়ায় থাকে। মাশাআল্লাহ! ভালো কাজ করতেছে।

কিছু মেয়ে আছে ভার্সিটি উঠার আগেই রিলেশনের লিস্ট ৬-৮ টা ছেলে জীবনে আসছে গেছে। ভালোবাসা ভালো লাগা এইসব ভালো লাগে। বান্ধবী ভালো লাগে এমনকি ভালো লাগা উচিত বটে। এতে মন ভালো থাকে। কিন্তু ছোট্ট বয়সে এইসব দেখলে বরং হাসি ই পায়।

মেয়েরাই শেষ সময়ে এসে ছেলেদের কাছে ধরা এইটা যদি শতকরা ১০%+ ছেলে ও বুঝতো তাহলে আজকে অনেক মা বাবার চোখের পানি ফেলতে হতো না। এমনকি অনেক ছেলেরাও ভবিষ্যতটা খুব শক্ত করে ফেলতো নিজের কর্ম দিয়ে অযথা ভাগ্যের দোষ দিতো না।

লেখা গুলা শো অফ করার জন্য লেখছি না। বরং আমি নিজে এক্সপেরিমেন্ট করছি। বিশ্বাস সবাই করুক আর না  করুক! ৯৬% মেয়েরাই চায় তার বয়ফ্রেন্ড ভালোভাবে ভবিষ্যতটা সাজাক। এতে আমি বলবো না মেয়েরা স্বার্থপর! বরং ১ টা মেয়ে চায় তার ভালোবাসা টিকে থাকুক, তার ভবিষ্যৎ সন্তানাদি ভালো থাকুক, তার মানুষটা ভালো থাকুক, সে যেই পরিবারের সাথে চিরজীবন সম্পৃক্ত থাকবে সেই পরিবারটা যাতে সকলের সামনে উপস্থাপন করতে পারে যে "এটা আমার পরিবার(শশুড় বাড়ী) আর এটা অবশ্যই ছেলের খুব বড় ১ টা প্লাস পয়েন্ট। মেয়েটা নিজেই ছেলেটার পরিবার আর বংশের গুণ গাইবে! এটা কতজন মেয়ে করে? তাই অনেককেই দেখা যায় যে, মেয়ের জন্য জান প্রাণ দিয়ে বছর কয়েক রিলেশন করে লাখ পাচেক সর্বমোট টাকা খরচ করে শেষের দিকে ভুল বুঝাবুঝি কোন মতে হয়ে গেলেই ব্রেক আপ!

কারন,আপনি তখন ও পড়াশুনায় বিদ্যমান এমনকি পাবলিকেও(ভার্সিটি)  না অতএব, আপনার ভবিষ্যত নিয়া মেয়েটা চিন্তায় থাকে। তাই কোন ১ টা ঝগড়ায় মেয়েরা রিলেশন ব্রেক আপ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করে না। কপালে লাথি ১ টা মাইরা যায়গ! আপনে তখন গাঞ্জা খান সিগারেট খান আর গান গাইতে থাকেন "ছাইড়া দিলাম মাটির পৃথিবী, জীবন খেলায় হারাইলাম সবই!" ভাই এইটা ক্যামনে জীবন খেলা হয় ভাই? মাইয়া গেছে গা, এখন মাইয়ারে দেখায় দেন আপনে সাক্সেস হইছেন! প্রতিশোধ না নিয়া সিগারেট খায়া বুকটা পুরায়া কয়ডা টাকা লাভ হয়?!

এতএব, এইসব না কইরা, ইন্টারের আগে প্রেম টেম না কইরা প্রাথমিক জীবন যাপন করে ভার্সিটি লাইফ থেকে চাকুরী লাইফের মধ্যে ১ টা ট্রাম্প কার্ড ফালাইলে আমি এখানে দোষের কিছু দেখি না রে ভাই! মাইয়া ডাইরেক্ট আপনার কোল! স্যালারি ভালো থাকলে, মেয়ে আপনার মায়ের সেবা যত্ন করতে বাধ্য।

ফ্লার্টিং এর স্টাইলটাও এখনকার মানুষ বোঝে না। আর পোলাপান না কি ডিজিটাল হইতাছে। ডিজিটাল না উল্টা আরোও মফিজ হইতাছে বইলা মনে হয় আমার!

এইসব রেস্ট্রিকশনের মধ্যে থাইকা মস্তিষ্কটা ১ টা মেয়ের জন্য আটকে না রেখে মুক্তভাবে ব্রেনটা রাখা উচিত আর এমন ১ টা মেয়ে খোজা উচিত যে না কি আপনাকে বুঝতে পারে, যে না কি আপনার প্রতি কেয়ার করে। আপনার প্রতি খেয়াল রাখার জন্য যে না কি খুব রাগ করে! এমন মেয়ে যদি দেখেন যে ফোন ওয়েটিং পাওয়ার জন্য রাগ করে কথা বলে না তাহলে দ্রুত ব্রেক আপ করে দেন!

এমন রাগী মেয়ে কে আগলে রাখার চেষ্টা করা শ্রেয় যে আপনি গোসল করেন নাই বা দুপুরে কাজের চাপে খান নাই সেই জন্য রাগ করে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে কথা বন্ধ করে আছে! এরাই আসল! এরাই খুব রেয়ার! এরাই পৃথিবীতে খুব কম। এইগুলাই আসল রাগ! এইসব রাগী মেয়েদের জন্য ভালোবাসা টিকে থাকে! ভালোবাসা গভীর হয়ে। বিয়ের পর সংসার ও ভালো হয় বইলা আমি মনে করি।

লেখকঃ এ আর তানভীর

এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট, বিইউপি।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ