দুর্গাপূজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা:  ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০২:৪৭:৫৪

দুর্গাপূজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা:  ডিএমপি কমিশনার

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কোনো ধরনের শঙ্কা কিংবা নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই, জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তাছাড়া, এবার বিসর্জনের দিন শুক্রবার হওয়ায় কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধও আরোপ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। রোববার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

 তাছাড়াও,আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দুর্গা উৎসব জাতীয় বড় উৎসবের মধ্যে একটি। এই উৎসবকে ঘিরে সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৩৪টি সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে নয়টি সবচেয়ে বড় মন্দির। এগুলো হচ্ছ-ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃঞ্চ মন্দির, কলাবাগন মন্দির ও বনানী মন্দির। এর বাইরে সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দির, রমনা কালি মন্দির, উত্তরা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট সমাজকল্যাণ সংঘ ও বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপসহ সব মন্দিরেই কয়েক স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা  গড়ে তোলা হবে।

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, প্রত্যেকটি মন্দির সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। প্রবেশকালে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে দর্শকদের প্রবেশ করতে হবে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

পুরো পূজা উৎসব ঘিরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। যেখান থেকে সার্বক্ষণিক ডিউটিতে থেকে পূজা কমিটির নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা বিধান করা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকার প্রত্যেকটি বড় মন্দিরে স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও ডগস্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হবে।  যে কোনো ধরনের ছিনতাই ও ইভটিজিংয়ের ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলে হকার বসতে ও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

দশমীর দিনে শোভাযাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শোভাযাত্রার রুট হবে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বেরিয়ে পলাশীর মোড়, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, গোলাপ শাহ মাজার হয়ে, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার হয়ে, সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে, নবাবপুর সড়ক দিয়ে রায় সাহেব বাজার মোড়, বাহাদুর শাহ পার্ক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, পাটুয়াটলি হয়ে ওয়াইশঘাটে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে বিসর্জন হবে। শোভাযাত্রা ও বিসর্জন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোভাযাত্রার সামনে-পেছনে ও মাঝে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করেছি। পূজায় সব ধরনের পটকা আতশবাজি, মাদকের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। নিরাপত্তা সুবিধায় বিজয় শোভাযাত্রায় উচ্চস্বরে বাজনা বন্ধ থাকবে। বিসর্জনের সময় নদীতে নৌ পুলিশ ও ডুবুরি মোতায়েন থাকবে। সার্চলাইটের মাধ্যমে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

এবার বিসর্জনের দিন পড়েছে শুক্রবার। তাই আজানের সময় নামাজের সময় বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সকল ধরনের বাদ্য বাজনা স্থগিত থাকবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/মুহিব

 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ