শিশুদের পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার ৯ কৌশল

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১২:০০:১৪

শিশুদের পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার ৯ কৌশল

অভিভাবকরা সব সময় শিশুদের পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য তাগিদ দেন। অনেক বাবা-মায়ের ধারণা বেশি পড়লে পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো হবে। না সব ক্ষেত্রে এমন ধারণা ভুলও হতে পারে। পরীক্ষা ফল ভালো করার জন্য কৌশলী হতে হবে।

ভালো রেজাল্টের জন্মগত প্রতিভা ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বই নিয়ে পড়ে থাকা নয়। নিয়মিত ভালো ফলাফল করে, এমন শিক্ষার্থীদের আসলে কিছু অভ্যাস থাকে যা তাদের ভালো ফল করতে সাহায্য করে।

আসুন জেনে নেই শিশুর পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার ৭ কৌশল।

ক্লাসে উপস্থিত

কোনো শিশু যদি ভালো ফল করতে চায় তবে তাকে অবশ্যই প্রতিদিন ক্লাসে যেতে হবে। শিক্ষক কী বুঝাচ্ছেন তা বুঝতে না পারলে তা পুনরায় জিজ্ঞেস করতে হবে। ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার সময় শিশুর ক্লাসের পড়া নিয়ে আলোচনা করুন।

হোমওয়ার্ক

স্কুলে বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শিশুদের সিলেবাস ধরে পড়ানো হয়। এছাড়া সেই পড়া অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়া হয়। তাই প্রতিদিন স্কুল থেকে ফেরার পর শিশুকে হোমওয়ার্ক করাতে হবে। প্রতিদিনের হোমওয়ার্ক প্রতিদিন করলে পড়ার চাপও কমে আর পরীক্ষায় ভালো ফলও হয়।

পড়াশোনাকে প্রাধান্য

পড়াশোনার সময়ে শুধুই পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়া উচিত। বই খোলার পর টিভি দেখা, খেলা করা এমনকি টুকিটাকি খাওয়ার দিকেও মনোযোগ না দেয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

একসঙ্গে পড়া

ক্লাসের সহপাঠীদের সঙ্গে পড়াশোনা করলে ফলাফল ভালো হয়। একেকজন একেকভাবে পড়াশোনা করে, কেউ একটি বিষয় অন্যদের থেকে ভালো বোঝে, কারও ক্লাস নোটস অন্যদের তুলনায় ভালো হয়।

গুছিয়ে রাখতে হবে পড়ার টেবিল

ক্লাস নোট, কালার পেন্সিল এসব খুঁজতে সময় নষ্ট হলে পড়ার ইচ্ছে অনেকটাই কমে যায়। সবসময় পড়ার জিনিস গুছিয়ে রাখতে হবে। ক্লাস থেকে এসে প্রতি বিষয়ের নোট আলাদা রঙের ফোল্ডারে গুছিয়ে রাখুন। অন্তত পড়ার টেবিলের ড্রয়ারে বা ব্যাকপ্যাকটা গুছিয়ে রাখার অভ্যাস করুন। এতে পড়াশোনা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

দ্রুত পড়ার অভ্যাস করুন

শুধু বই সামনে নিয়ে বসে থাকলে পড়া হয় না। দ্রুত পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিশুকে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

লেখার অভ্যাস

যে বিষয়ে শিশুকে পড়াচ্ছেন সেই বিষয়টি লেখার অভ্যাসও করতে হবে। কারণ পড়ার পরে লেখলে পড়া সহজে রপ্ত করা যায় আর কঠিন বানানও সহজ হয়ে যায়। তাই ফলও ভালো হয়।

সময় ভাগ করে দেয়া

সকালে স্কুল থেকে ফিরে গোসল, ঘুম, খাওয়া পড়া ও খেলার সময় ভাগ করে নিতে হবে। বিভিন্ন বাড়ির কাজ বা অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করার জন্য ভাগ ভাগ করে কাজ করতে হয়। এত রেজাল্ট ভালো হয়।

সপ্তাহে একদিন পরিক্ষা

শিশুর এক সপ্তাহ পড়া শেষে সেই পড়াগুলো ভালোভাবে রপ্ত করার জন্য সপ্তাহে বিষয়ভিত্তিক ২০ নম্বরের একটি পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে।এতে পুরো সপ্তাহের পড়া ভালোভালো রপ্ত করতে পারবে।

সুন্দর করে ডায়েরি লেখা

পড়ার জন্য পাঠ্যবই পড়া দরকারি, ঠিকই। কিন্তু ক্লাসে মনোযোগ দেওয়াটাও জরুরি। ক্লাসে যা পড়ানো হয়, যেটায় জোর দেয়া হয় সাধারণত সেটাই পরীক্ষায় আসে। তাই শিশুকে ক্লাস ডায়েরি লেখার প্রতি গুরুত্ব দেয়া শেখাতে হবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/নিরব

এ সম্পর্কিত খবর

শিক্ষক মরহুম আবু তালেবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

ঘোড়াঘাটে মাদকবিরোধী অভিযানে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

ভোট দিতে গিয়ে শুনলেন তিনি মারা গেছেন, নিরাশ হয়েই ফিরলেন বৃদ্ধা

ইরানে হামলার পর নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়তে বলল অস্ট্রেলিয়া

মুস্তাফিজকে কেন পুরো আইপিএল খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ

খিলগাঁওয়ে পরিত্যক্ত ঘরে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ, পুলিশের ধারণা হত্যা

কণ্ঠের সুরক্ষায় ঝাল-তৈলাক্ত খাবার পরিহারের পরামর্শ

৩টি ড্রোন ধ্বংস করল ইরান, নিরাপদে আছে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ