স্থুল নারীদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১১:৩৮:৪০

স্থুল নারীদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি

যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৪৩ সালের মধ্যে নারীদের ক্যান্সারের জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে অতিরিক্ত ওজন। ধূমপানের কারণে নারীদের ক্যান্সারের ঝুঁকির চেয়ে বেশি ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে নারীদের স্থূলতা। বর্তমানে শতকরা ১২ ভাগ নারীর ক্যান্সারের কারণ হিসেবে ধূমপানকে এবং শতকরা ৭ ভাগ নারীর ক্যান্সারের কারণ হিসেবে অতিরিক্ত ওজনকে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু ধূমপায়ীর সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকায় এবং নারীদের মধ্যে স্থূলতার হার বাড়তে থাকায় আগামী ২৫ বছরের মধ্যে নারীদের ক্যান্সারের প্রধান কারণে পরিণত হতে পারে অতিরিক্ত ওজন।খবর বিবিসির।

ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র এক ধারণা অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে শতকরা ১০ ভাগ নারীর ক্যান্সারের কারণ হবে ধূমপান এবং শতকরা ৯ ভাগ নারীর ক্যান্সারের কারণ হবে অতিরিক্ত ওজন। আর এই ধারা অব্যাহত থাকলে, ২০৪৩ সালের মধ্যে ধূমপানের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর চেয়ে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে।

গবেষণা দলটি আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, অতিরিক্ত ওজনের কারণে পুরুষের চেয়ে নারীদের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বেশি। কারণ অতিরিক্ত ওজনের ফলে অন্ত্র, গল ব্লাডার, কিডনি, লিভার, স্তন, জরায়ু ও থাইরয়েডে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর নারীদের মধ্যে এ ধরনের ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। ফলে অতিরিক্ত ওজন হলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যাবে নারীদের।

সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, গত এক দশকে যুক্তরাজ্যের শিশুদের মধ্যেও স্থূলতার হার বেড়েছে। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ লিন্ডা বওল্ড বলেন, শৈশবে যাদের অতিরিক্ত ওজন ছিল, প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় তাদের স্থূলতার আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে ৫ গুণ। তার মতে, স্থূলতা আর ক্যান্সারের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে সেই বিষয়টি সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে এবং শিশুদের সচেতন করতে এখনই নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

লিন্ডা বওল্ড জানান, ‘কম স্বাস্থ্যকর’ খাবারের বিজ্ঞাপনে মূল্য প্রচারে কড়াকড়ি আরোপ এবং রাত ৯টার আগে টেলিভিশনে জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞার মতো নীতি প্রণয়ন করার বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। তার মতে, ঠিকমতো প্রচারণা চালাতে পারলে ধূমপানের মতো জাঙ্ক ফুডের বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়বে। এতে মানুষের অতিরিক্ত ওজন বাড়ার প্রবণতা কমে আসবে। আর এটি হলে অতিরিক্ত ওজনের জন্য যেসব ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাও উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে।

প্রজন্মনিউজ২৪

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ