ঘুড়ে বেড়ানোর মত গাজীপুরের যত পিকনিক স্পট

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই, ২০১৮ ০৭:০৭:১০

ঘুড়ে বেড়ানোর মত গাজীপুরের যত পিকনিক স্পট

প্রাচীন জনপদ হিসাবে গাজীপুরের রয়েছে শত বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এসব গর্ব করা যায় অনায়াসেই। আবার বর্তমান নিয়েও গর্ব করার অনেক বিষয় রয়েছে গাজীপুরে।

নদী, বিল, টেক, টিলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি ঢাকার প্রতিবেশী এই জেলা। এখানকার শাল-গজারি, তাল, আম, কাঁঠালের বনবীথিকার দৃষ্টিনন্দন শোভা যে কারো মুগ্ধ দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। গাজীপুর জেলার আয়তন ১৭৪১ বর্গ কিলোমিটার।

 জেলার উপজেলাগুলো হচ্ছে-গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর, কালীগঞ্জ, কাপাসিয়া, শ্রীপুর, টঙ্গী ও জয়দেবপুর। জেলার উত্তরে ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ, পূর্বে কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী, দক্ষিণে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এবং পশ্চিমে ঢাকা ও টাঙ্গাইল। পুরনো ব্রহ্মপুত্র, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বংশী, বালু এই জেলার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নদী।

এই জেলার খ্যাতনামা ব্যক্তিরা হচ্ছেনÑ কবি গোবিন্দ চন্দ্র দাস, বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, ঢাকার বলধা গার্ডেনের প্রতিষ্ঠাতা জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী, সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দিন, ভাষা সৈনিক আলাউদ্দিন হোসেন, জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদ।

গাজীপুরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট। এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই সাফারি পার্কের উন্মুক্ত বাঘ, ভালুক, সিংহ, জিরাফসহ বিভিন্ন দুর্লভ প্রাণী ও জীবজন্তু দেখতে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মানুষ আসে। এখানে বিচরণ করছে একাধিক প্রজাতির পশু-পাখি।

এ সাফারি পার্কে বাঘ, সাদা সিংহসহ  ময়ূর, হরিণ, জিরাফ, জেব্রা, বনগরু, হাতি, ভালুক ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখিসহ কয়েক হাজার পশু ও পাখি উন্মুক্তভাবে বিচরণ করছে। এসব জন্তু দেখার জন্য রয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। বিচরণরত বাঘ ও সিংহ, ভালুক উন্মুক্ত অবস্থায় দেখতে পারবেন। সাফারি পার্কে বাঘ পর্যবেক্ষণ রেস্তোরাঁয় শুধু বাঘ নয়, সিংহ পর্যবেক্ষণ রেস্তোরাঁ থেকেও জীবজন্তু দেখতে পাবেন।

এই জেলায়ই আছে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এছাড়া সময় পেলে কাপাসিয়া উপজেলার শীতলক্ষ্যার বুকে গড়ে উঠা ধাঁধার চরে ঘুরে আসতে পারেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এবং পিকনিক ও শুটিং স্পটে খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও থাকার ব্যবস্থা নেই। তবে রিসোর্টগুলোতে থাকা ও খাওয়ার সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

এদিকে গাজীপুরেই আছে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নুহাশপল্লী, অভিনেতা তৌকির-বিপাশা দম্পতির নক্ষত্রবাড়ী, গ্রীনটেক রিসোর্ট, দিপালী রিসোর্টসহ একাধিক রিসোর্ট। শ্রীপুরের শান্তিকুঞ্জ, মমতাজ শুটিং স্পট, সিগালসহ অসংখ্য স্পট, কালিয়াকৈরের নন্দন পার্ক, সোহাগপল্লী, আনন্দ রিসোর্ট, গুলবাগিচা, রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট। সারা বছরই পিকনিকসহ নানা অনুষ্ঠানের জন্য এসব ট্যুরিস্ট স্পটে ভিড় লেগে থাকে।

হাজার বছরের প্রাচীন গাজীপুরে আপনার পছন্দের যেকোনো একটি অথবা একাধিক দর্শনীয় স্থানে বেড়িয়ে আসতে পারেন। যখনি যাবেন কয়েকজন মিলে যাবেন। কারণ দলবেঁধে গেলে আনন্দ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/রাসেল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ