বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো কিছু প্রমাণ হয়নি'

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই, ২০১৮ ০১:৫৫:৫১

বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো কিছু প্রমাণ হয়নি'

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানিতে গতকাল আইনজীবী আবদুর রেজাক খান বলেছেন, দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ইমেজ, পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার, পলিটিক্যাল লাইফ ধ্বংস করতে কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই তাকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার সারা জীবনকে পর্যুদস্ত করতেই এই মামলা করা হয়েছে। আর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের একমাত্র সাক্ষী ও বাদি ও তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ। তিনি ছাড়া অন্য কোনো সাক্ষী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু বলেনি। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অফিস বা সোনালী ব্যাংক থেকেও কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে কোনো কিছু নেই। মামলার প্রথম সাক্ষী ছাড়া কোনো সাক্ষী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি বাক্যও উচ্চারণ করেননি। এ মামলার অন্য অ্যাভিডেন্স মেলালে দেখা যাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো কিছু প্রমাণ হয়নি।

গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানিকালে আইনজীবী আলী আবদুর রেজাক খান এসব কথা বলেন। গতকাল মামলার বাদি ও প্রথম সাক্ষী, হারুন অর রশিদ, মামলার ৩২তম সাক্ষী ও প্রথম অনুসন্ধান কর্মকর্তা নুর আহমেদ এবং ১২ ও ১৩ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্য এ দিন আদালতের উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী। তাদের সহায়তা করেন ব্যারিস্টা নওশাদ জমির। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।

শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার প্রথম অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নুর আহমেদ তার অনুসন্ধান প্রতিবেদনে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করেননি। অথচ তার মাত্র চার দিনের মধ্যে একটি নতুন তদন্ত শেষ করে অন্য একজন তদন্ত কর্মকর্তা অর্থাৎ হারুন অর রশিদ এ মামলায় খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছেন।

শুনানির একপর্যায়ে আবদুর রেজাক খান বলেন, আমি বেনিফিট অব ডাউটের কথা বলছি না, আমি বলছি- বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা প্রমাণ হয়নি।

শুনানির সময় আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জয়নুল আবেদীন, আমিনুল ইসলাম, কায়সার কামাল, রাগীব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মো: ফারুক হোসেন, আনিছুর রহমান খান, আইয়ুব আলী আশ্রাফী, মির্জা আল মাহমুদ, সালমা সুলতানা সোমা প্রমুখ।

গতকাল আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী সানা উল্লাহ মিয়া আদালতে বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়া জামিনে রয়েছেন। তার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানাচ্ছি। এরপর আদালত খালেদা জিয়ার জামিন ২৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করে আদেশ দেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ বিচারক বাসুদেব রায় এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/রায়হান

 

 

 

 

 

 

এ সম্পর্কিত খবর

মোস্তাফিজকে নিয়ে বিসিবির ভাবনা ঠিক নেই: হার্শা ভোগলে

যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

যেই ৩ আমলে সহজেই হবে বিয়ে

সিংড়ায় মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ ও মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা

হিটস্ট্রোকে অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মৃত্যু

ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ বুধবার থাইল্যান্ড গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিসকা’র অনুমতি দেয়নি ঢাবি প্রশাসন

ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি শেয়ার করতে পারবেন

চুয়াডাঙ্গায় সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের ভেতর গভীরতম হামলা হিজবুল্লাহর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ