প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ শেষ ধাপের পরীক্ষা ২৬ মে

প্রকাশিত: ১৪ মে, ২০১৮ ১১:০৩:৩৭

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ শেষ ধাপের পরীক্ষা ২৬ মে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চলমান নিয়োগের তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা ২৬ মে অনুষ্ঠিত হবে। ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৪’ লিখিত পরীক্ষার ফলও ৩ ধাপে প্রকাশ করা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্র নিশ্চিত করেছে।ডিপিইর অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো: রমজান আলী গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেন, শেষ ধাপে তিন পার্বত্য জেলা বাদে অবশিষ্ট ২৯ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ এবং কোনো ধরনের বিতর্ক ছাড়াই যেন শেষ ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায় তার জন্য সর্বাত্মক সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।তিনি আরো জানান, তিন ধাপেই লিখিত পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে।

প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল চূড়ান্ত প্রস্তুতির পর্যায়ে রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগিরই প্রথম ধাপের ফল ঘোষণা করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরও অনেক কাজ রয়েছে। একসাথে ফল প্রকাশ করা হলে অনেক জটিলতা ও চাপ বেশি হবে। তাই ধাপে ধাপে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফল প্রকাশের পর মৌখিক পরীক্ষাসহ আরো বহু কাজ শেষ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে জুলাই মাস লেগে যাবে।এ দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অবশিষ্ট ২৯ জেলার জেলা প্রশাসকদের কাছে ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছে।

তাদের ছাড়পত্র পেলেই এ দিন চলমান সহকারী শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসনে রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৪’ পরীক্ষার মাধ্যমে ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সারা দেশ থেকে প্রায় ছয় লাখ আবেদন জমা পড়ে। পুলভুক্ত সহকারী শিক্ষক এবং প্যানেল শিক্ষকদের দফায় দফায় উচ্চাদালতে রিটের কারণেই মূলত এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল এতদিন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চাদালতের নির্দেশনা ছিল, পুলভুক্ত সহকারী শিক্ষক এবং প্যানেল শিক্ষকদের নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

সম্প্রতি ওইসব শিক্ষকের নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। মূলত নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধেই এ সিদ্ধান্ত ও কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। সারা দেশে তিন দফায় পরীক্ষা সম্পন্ন করতে, প্রত্যেক দফায় নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কঠোর নজরদারির পরও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় পটুয়াখালী ও ভোলায় প্রশ্ন ফাঁসের জন্য একটি চক্র সক্রিয় ছিল। এ চক্রের সবাইকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা পরীক্ষার আগের দিনরাতে চিহ্নিত করেন।

আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়। শেষ ধাপের ব্যাপারে তাই এখন থেকেই সতর্ক অবস্থান ও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।ডিপিই সূত্র জানায়, প্রথম দফায় ১২ জেলায় নিয়োগ পরীক্ষা হয় ২০ এপ্রিল। ১২ জেলায় এ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় দুই লাখ, ১১ মে দ্বিতীয় ধাপে ২০ জেলার পরীক্ষায় আরো প্রায় তিন লাখ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ২৬ মে শেষ ধাপের পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে চার লাখ প্রার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা। দুইটি ধাপে ৩২ জেলায় নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশনাবলি ও পরীক্ষা-সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য (ww w.dpe.gov.bd) এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

প্রজন্ম নিউজ২৪/মোঃ আতাউর রহমান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ