ভোক্তা অধিকারে যাত্রীর অভিযোগ

সাত টাকার বাস ভাড়া ৩০ টাকা !

প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল, ২০১৮ ০৬:১৬:১১

সাত টাকার বাস ভাড়া ৩০ টাকা !

রাজধানীতে বাসযাত্রীদের কাছ থেকে জোড় করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। ঢাকার বিভিন্ন রুটে চালাচলকারী লোকাল বাসগুলোর ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। কিন্ত ভাড়ার তালিকা কোনোভাবেই মানছেন না বাসের মালিক, চালক ও হেলপাররা। এ নিয়ে অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে কিছু সংগঠন। অবশ্য কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না।

বাস্তবতা হলো, প্রতিবাদ করে কোনো লাভ হয় না বরং পরিবহন শ্রমিকদের কাছে হেনস্থার শিকার হতে হয়। আশার কথা হলো, সম্প্রতি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আব্দুল আলীম নামে এক ভুক্তভোগী বাসযাত্রী। শুধু প্রতিবাদই নয়, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কারণে তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন।

গতকাল রবিবার কারওয়ান বাজারের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে গিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

অভিযোগপত্রে আব্দুল গাফফার লিখেছেন, আমি ৭ এপ্রিল, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সাতরাস্তা থেকে কাকরাইল যাওয়ার জন্য স্কাইলাইন পরিবহনের একটি গাড়িতে উঠি। যার নম্বর ঢাকা মেটো-ব-১১৮৮৭২। গাড়িটি আমার কাছে থেকে সাত টাকার ভাড়ার জায়গায় ৩০ টাকা আদায় করে। অথচ বিআরটিএর সর্বশেষ ভাড়ার তালিকায় বলা হয়েছে, সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা। অভিযোগের সাথে এই চলমান বাস-মিনিবাসের ভাড়ার তালিকা যুক্ত করা আছে। যাতে লেখা রয়েছে, এই ভাড়ার সাথে অন্য কোনো অর্থ যোগ করে ভাড়া দাবি করা যাবে না। তারপরও তারা মহাখালী থেকে সদরঘাটের ভাড়া আদায় করেছে। আমার কাছে থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ার কারণে এর বিচার চাই।

ওই অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানার স্থানে লেখা আছে ‘স্কাইলাইন পরিবহন’।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল আলীম বলেন, আমি প্রায়ই এই রোড দিয়ে যাতায়াত করি। সাতরাস্তা থেকে কাকরাইলের হিসাবে ভাড়া হয় ৭ টাকা। কেউ কেউ ৮ টাকা নেয়, আবার ১০ টাকাও নেয়। সেটা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্ত এবার সেই ভাড়া তারা জোর করে আমার কাছে থেকে নিল ৩০ টাকা। আমি এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার আইনে একটি মামলা করেছি। আমাকে জানানো হয়েছে, আগামী মাসে এই মামলার শুনানি করা হবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিআরটিএর সচিব মো. শওকত বলেন, গাড়িগুলো যখন রেজিস্ট্রেশন নেয়, তখন তো তারা সিট অনুযায়ী নেয়। সেখানে দাঁড়িয়ে কতজন থাকতে পারবে। এভাবেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়। সেই শর্ত মোতাবেক তারা গাড়ি চালাবে। কিন্তু সেখানে তারা সিটিং, বিরতিহীন, গেট লক, দরজা বন্ধ এই সমস্ত কথা বলে কিছু গাড়ি চালায় অতিরিক্ত ভাড়া নেবার জন্য। এই সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি একটা প্রতিবেদনও দিয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল বলেন, সিটিং সার্ভিস নামে রাজধানীতে কোনো পরিবহন ব্যবস্থাই চালু নাই। এটা একটি আইওয়াশ। এই আইওয়াশ করে বাড়তি টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি, যারা পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদেরও এক ধরনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমরা বিআরটিএর কাছে একাধিকভাবে এটা নিয়ে দাবি জানিয়েছি। বিআরটিএ বার বার বলছে যে, সিটিং সার্ভিস নামের তাদের কোনো পরিবহনের অনুমতি নেই।

এদিকে বিআরটিএর ওয়েবসাইটে দেওয়া ঢাকা মেট্রো এলাকার বাস ভাড়ার তালিকা দেখা যায়, প্রতি যাত্রী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা। সে হিসেবে মহাখালী থেকে কাকরাইলের ভাড়া ৯ টাকা। ওই তালিকায় সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা দেখানো হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ