চোখের পলকে ‘মাথায় হাত’

প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ ০২:৩২:২২

চোখের পলকে ‘মাথায় হাত’

পেসে হাবুডুবু। স্পিনে বিভ্রান্ত। মিরপুর টেস্টে প্রথমদিনের মতো দ্বিতীয়দিনেও এই অবস্থা বাংলাদেশের। পরিণাম সর্বনাশের মাথায় বাড়ি, ১১০ রানে অলআউট! শেষ ১০ ওভারে উঠেছে ২৫ রান, সাজঘরে ফেরেন ৫ জন।

শ্রীলঙ্কার লিড ১১২ রানের। মিরপুরে বাংলাদেশের এটি সর্বনিম্ন রানের লজ্জা। আগে এ মাঠে মুশফিকদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল ছিল ১১৮, ভারতের বিপক্ষে। ২০০৭ সালে। দুইশ’র আগে ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার ঘটনা মোট পাঁচবার।

স্পিনিং উইকেটে ঠিক আগের দিনের মতো পেসার সুরাঙ্গা লাকমাল হয়ে ওঠেন ‘ভয়ঙ্কর’। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সকালে ফেরান লিটন দাসকে (২৫)। এরপর স্পিনার ধনঞ্জয়া ফেরান রিয়াদকে (১৭)।

একই ওভারে তিন বল খেলে বিদায় নেন সাব্বির রহমান (০)। মূর্তিকারিগর অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা ২৪ বছরের এই তরুণই দ্বিতীয়দিন আগেভাগে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন। ১০ ওভারে ২০ রান দিয়ে তিনজনকে ফেরান।

লাকমাল ২৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। পেরেরা দুই উইকেট। ৩৮ রানে অপরাজিত থাকা মিরাজ ছিলেন শুধু ব্যতিক্রম। শুরু থেকে সাবলীল ব্যাট চালাতে থাকেন। লাকমালকে চার ও হেরাথকে ছক্কা মেরে শুরু করেন।

কিন্তু আরেক দিকে ‘যাচ্ছেতাই’ অবস্থা। আগের দিন দারুণ খেলে ২৪ রান করা লিটন এদিন আর এক রান যোগ করেন। লাকমালের করা অফস্টাম্পের বাইরের বল অনেকটা দূর থেকে আলতো করে ব্যাটে লাগিয়ে বোল্ড হন।

এরপর একে একে ফিরে যান রিয়াদ (১৭), সাব্বির (০), রাজ্জাক (১), তাইজুল (১) এবং মোস্তাফিজ (০)। প্রথম ইনিংসে লঙ্কানরা ২২২ রানে অলআউট হয়। তারা গুটিয়ে যায় রাজ্জাক, তাইজুল এবং মোস্তাফিজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে।

চার বছর পর দলে ফেরা রাজ্জাক ৬৩ রানে চার উইকেট নেন। তাইজুলও চারটি। তিনি খরচ করেন ৮৩ রান। মোস্তাফিজ ১৭ রানে দুই উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের চা বিরতির পরপরই অলআউট করে দেন। সফরকারীদের হয়ে কুশল মেন্ডিস সর্বোচ্চ ৬৮ ও রোশেন সিলভা ৫৬ রান করেন।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ