ডিএনসিসি সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা দরকার

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী, ২০১৮ ০৬:০১:৩২ || পরিবর্তিত: ১৬ জানুয়ারী, ২০১৮ ০৬:০১:৩২

ডিএনসিসি সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা দরকার

নগরজুড়ে আলোচনায় এখন ঢাকা উত্তরের সিটি নির্বাচন। পূর্ণ মেয়াদের না হলেও এই নির্বাচন এখন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।           

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের বছর হলেও এই উপনির্বাচনে সবার নজরে থাকবে কমিশন। প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ, অভিযোগ আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে নির্বাচন পরিচালনায় এসব বিষয়ে কমিশনের কি ভূমিকা থাকবে সেটাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।

নির্বাচন বিশ্লেষক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, 'এবারে আমার মনে হয় অভিযোগের প্রতিকার করার বিষয়টা শুধু ঢাকা উত্তরে নয় ভবিষ্যতে যে জাতীয় নির্বাচন আসছে ওটাতেও নির্বাচন কমিশন অনেক বেশি সচেষ্ট হবে। মানুষ নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতার ওপরও নজর রাখবে যে, তারা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারছেন কিনা। সরকারের প্রতিও নজর থাকবে তারা বাড়তি কোনো প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে কিনা।'

তবে নির্বাচন কমিশন একা নয় সফল একটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে সরকার, আর রাজনৈতিক দলের সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক মো. আব্দুল আলিম বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের একার প্রচেষ্টায় কোনো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এখানে রাজনৈতিক দলের, প্রার্থীর ভূমিকা থাকতে হয় এবং সরকারের একটা বড় ভূমিকা থাকতে হয়। কাজেই কমিশন এখানে উদ্যোগ নেবে এবং বাকি যারা আছে তারা এতে সহায়তা করবে।'

এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেছেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো আপোষ করবেন না তারা।

তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন একটা নির্দিষ্ট আইন-কানুনের মাধ্যমে নির্বাচন করে থাকে। আমরা আশা করবো, আমাদের প্রার্থীরা সবসময় যেনো আইন-কানুনগুলো মেনে চলেন। যাতে নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়।'

আগামী ৩০ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পরেই আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় মাঠে নামবেন প্রার্থীরা।

প্রজন্মনিউজ২৪.কম/মাসফি

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ