মনে কী ভাবেন, তা বলে দিতে পারি

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১২:৩০:০৫ || পরিবর্তিত: ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১২:৩০:০৫

মনে কী ভাবেন, তা বলে দিতে পারি

আমি আপনার মন পড়তে পারি। আপনি মনে মনে কী ভাবেন, তা বলে দিতে পারি। দেখুন, মেলে কি না।

আচ্ছা, পরীক্ষা হয়ে যাক।

প্রথম পরীক্ষা: আপনার সম্পর্কে আমি যে ১০টা জিনিস জানি।
১. আপনি আমার এই লেখাটা পড়ছেন।
২. আপনি দুই ঠোঁট একসঙ্গে না মিলিয়ে ‘মা’ উচ্চারণ করতে পারেন না।
৩. আপনি আপনার মাকে ডাকছেন।
৪. আপনি হাসছেন।
৬. এবার আপনি আরেকটু বেশি করে হাসলেন।
৭. আপনি খেয়াল করেননি যে আমি ৫ নম্বর ধাপটি বাদ দিয়েছি।
৮. এবার আপনি সেটা খেয়াল করে দেখলেন, তাই তো! ৫ নেই!
৯. আপনি আবারও হাসলেন।
১০. এবার আপনি হাসি থামিয়ে ভাবছেন, আচ্ছা, এর পরেরবার এই লোককে আমার মন পড়তে দেব না।
ঠিক আছে, ঠিক আছে। আপনি নিশ্চয়ই আমার চেয়ে অনেক স্মার্ট। আমি এটা নিজে উদ্ভাবন করিনি, ইন্টারনেটে পাওয়া জিনিস অনুবাদ করে দিয়েছি মাত্র। আচ্ছা, এর পরের পরীক্ষাটায় যাই। একটু মন দিয়ে নিচের ধাপগুলো অতিক্রম করুন। একটু মন দিয়ে।

দ্বিতীয় পরীক্ষা: আপনি থেকে -এর মধ্যে যেকোনো একটা সংখ্যা মনে মনে ধরুন।
ধরেছেন! যেকোনো একটা সংখ্যা, ২ থেকে ৯-এর মধ্যে। ধরেছেন? এবার সংখ্যাটিকে ৯ দিয়ে গুণ করুন।
গুণফলে দুটো অঙ্ক আছে। অঙ্ক দুটো যোগ করুন।
যোগফল থেকে ৫ বিয়োগ দিন।
যে সংখ্যাটি পেলেন, সেটি দিয়ে ইংরেজি অক্ষর মেলান। মানে ১ হলে ‘এ’, ২ হলে ‘বি’, ৩ হলে ‘সি’, ৪ হলে ‘ডি’।
ইংরেজি অক্ষর পেয়েছেন? সেই অক্ষর দিয়ে একটা দেশের নাম ভাবুন।
সেই দেশের নামের ইংরেজি বানানের শেষ অক্ষর দিয়ে একটা প্রাণীর নাম ভাবুন, চার পায়ের প্রাণী।
ভাবতে পেরেছেন?
শুনুন, ডেনমার্কে ক্যাঙারু থাকে না।
এবার কি আমি আপনার মন পড়তে পেরেছি?
বিশ্বাস হলো যে আমি আপনাকে পড়তে পারি।

আচ্ছা, তৃতীয় পরীক্ষা। দেখুন তো মিলে যায় কি না-
১. আপনি ঠিক করেছেন যে আপনার ওজন কমাবেন। কাজেই খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডায়েট করতে হবে। এটা আপনি আরম্ভ করেন, কিন্তু মাঝেমধ্যেই প্রতিজ্ঞাচ্যুত হয়ে পড়েন। যা খাওয়ার কথা নয়, তা খেয়ে ফেলেন। তারপর হতাশ হয়ে পড়েন আর তখন ডায়েটের কথা ভুলে যান। কয়েক দিন পর একই প্রতিজ্ঞা আবারও শুরু করতে হয়।
২. আপনি ঠিক করেছেন, আরেকটু গোছানো হবেন। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে না। রাতের বেলা কাপড় খুলে সেটা না গুছিয়েই শুয়ে পড়েন।
৩. আপনি ‘না’ বলতে পারেন না। অথচ ‘না’ বলা আপনার উচিত ছিল। ‘না’ বলতে না পেরে পরে নিজের ওপরই বিরক্ত হন। ঠিক করেন যে এরপর থেকে ‘না’ বলা শিখবেন। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে না।
৪. আপনি ঠিক করেছেন নিয়মিত হাঁটবেন কিংবা ব্যায়াম করবেন। এটাতে প্রায়ই বিরতি পড়ে যায়।
৫. যেকোনো কাজ করার জন্য আপনি শেষ মুহূর্তটিকেই বেছে নেন। সব সময় ভাবেন, করতে যখন হবেই, আগেভাগেই করে ফেলব। কিন্তু আগেভাগে করা হয়ে ওঠে না। প্রতিবার শেষ মুহূর্তেই জিনিসগুলো করা হয়।
৬. আপনি সবার জন্য অনেক করেন। আপনার মনটা খুব ভালো। সবার প্রতি আপনার অনেক আন্তরিকতা। কিন্তু এ
সত্ত্বেও অনেকেই আপনাকে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না।

মিলল? অনেকটাই?
না মিললে আপনি খুবই বিশিষ্ট মানুষ। আর মিলে গেলে বলব, আপনি আমাদের মতোই, আর সবার মতোই। কারণ, বেশির ভাগ মানুষের বেলায় এ রকমটাই হয়।
আপনি কি জানেন, আপনি এসএমএস করেন বুড়ো আঙুল দিয়ে?
আপনি কি জানেন, আপনি জিব দিয়ে নাক স্পর্শ করতে পারেন না?
আপনি এটা এখন চেষ্টা করছেন?
করছেন তো?
হাসছেন? হা হা হা। আপনার নতুন বছর হাসি-আনন্দে কাটুক।
এই লেখা এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। লেখাটা পড়ে আপনি ভাবছেন, এটা কোনো লেখা হলো! লেখার মধ্যে কোনো বার্তা থাকবে না? কাগজের জায়গার দাম আছে না?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা প্রবন্ধ আছে-‘বাজে কথা’। তাতে তিনি বলেছেন, ‘অন্য খরচের চেয়ে বাজে খরচেই মানুষকে যথার্থ চেনা যায়। কারণ, মানুষ ব্যয় করে বাঁধা নিয়ম অনুসারে, অপব্যয় করে নিজের খেয়ালে। যেমন বাজে খরচ, তেমনি বাজে কথা। বাজে কথাতেই মানুষ আপনাকে ধরা দেয়।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, যে কথায় উপদেশ নেই, যেটা বাজে কথা, সেটাই বেশি মূল্যবান। তিনি উদাহরণ দিয়েছেন, কয়লা দিয়ে যন্ত্র চলে, হীরা দিয়ে তা করা যায় না, তবু হীরাই মূল্যবান।
আজ তাই কোনো কাজের কথা না হয় না-ই হলো। একটুখানি হাসি-ঠাট্টা করলাম। নির্মল হাসিতে ভরে উঠুক আমাদের নতুন বছর-এই প্রার্থনাও কিন্তু করছি।

মনে কী ভাবেন, তা বলে দিতে পারি

 আমি আপনার মন পড়তে পারি। আপনি মনে মনে কী ভাবেন, তা বলে দিতে পারি। দেখুন, মেলে কি না।

আচ্ছা, পরীক্ষা হয়ে যাক।

প্রথম পরীক্ষা: আপনার সম্পর্কে আমি যে ১০টা জিনিস জানি।
১. আপনি আমার এই লেখাটা পড়ছেন।
২. আপনি দুই ঠোঁট একসঙ্গে না মিলিয়ে ‘মা’ উচ্চারণ করতে পারেন না।
৩. আপনি আপনার মাকে ডাকছেন।
৪. আপনি হাসছেন।
৬. এবার আপনি আরেকটু বেশি করে হাসলেন।
৭. আপনি খেয়াল করেননি যে আমি ৫ নম্বর ধাপটি বাদ দিয়েছি।
৮. এবার আপনি সেটা খেয়াল করে দেখলেন, তাই তো! ৫ নেই!
৯. আপনি আবারও হাসলেন।
১০. এবার আপনি হাসি থামিয়ে ভাবছেন, আচ্ছা, এর পরেরবার এই লোককে আমার মন পড়তে দেব না।
ঠিক আছে, ঠিক আছে। আপনি নিশ্চয়ই আমার চেয়ে অনেক স্মার্ট। আমি এটা নিজে উদ্ভাবন করিনি, ইন্টারনেটে পাওয়া জিনিস অনুবাদ করে দিয়েছি মাত্র। আচ্ছা, এর পরের পরীক্ষাটায় যাই। একটু মন দিয়ে নিচের ধাপগুলো অতিক্রম করুন। একটু মন দিয়ে।

দ্বিতীয় পরীক্ষা: আপনি থেকে -এর মধ্যে যেকোনো একটা সংখ্যা মনে মনে ধরুন।
ধরেছেন! যেকোনো একটা সংখ্যা, ২ থেকে ৯-এর মধ্যে। ধরেছেন? এবার সংখ্যাটিকে ৯ দিয়ে গুণ করুন।
গুণফলে দুটো অঙ্ক আছে। অঙ্ক দুটো যোগ করুন।
যোগফল থেকে ৫ বিয়োগ দিন।
যে সংখ্যাটি পেলেন, সেটি দিয়ে ইংরেজি অক্ষর মেলান। মানে ১ হলে ‘এ’, ২ হলে ‘বি’, ৩ হলে ‘সি’, ৪ হলে ‘ডি’।
ইংরেজি অক্ষর পেয়েছেন? সেই অক্ষর দিয়ে একটা দেশের নাম ভাবুন।
সেই দেশের নামের ইংরেজি বানানের শেষ অক্ষর দিয়ে একটা প্রাণীর নাম ভাবুন, চার পায়ের প্রাণী।
ভাবতে পেরেছেন?
শুনুন, ডেনমার্কে ক্যাঙারু থাকে না।
এবার কি আমি আপনার মন পড়তে পেরেছি?
বিশ্বাস হলো যে আমি আপনাকে পড়তে পারি।

আচ্ছা, তৃতীয় পরীক্ষা। দেখুন তো মিলে যায় কি না-
১. আপনি ঠিক করেছেন যে আপনার ওজন কমাবেন। কাজেই খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডায়েট করতে হবে। এটা আপনি আরম্ভ করেন, কিন্তু মাঝেমধ্যেই প্রতিজ্ঞাচ্যুত হয়ে পড়েন। যা খাওয়ার কথা নয়, তা খেয়ে ফেলেন। তারপর হতাশ হয়ে পড়েন আর তখন ডায়েটের কথা ভুলে যান। কয়েক দিন পর একই প্রতিজ্ঞা আবারও শুরু করতে হয়।
২. আপনি ঠিক করেছেন, আরেকটু গোছানো হবেন। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে না। রাতের বেলা কাপড় খুলে সেটা না গুছিয়েই শুয়ে পড়েন।
৩. আপনি ‘না’ বলতে পারেন না। অথচ ‘না’ বলা আপনার উচিত ছিল। ‘না’ বলতে না পেরে পরে নিজের ওপরই বিরক্ত হন। ঠিক করেন যে এরপর থেকে ‘না’ বলা শিখবেন। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে না।
৪. আপনি ঠিক করেছেন নিয়মিত হাঁটবেন কিংবা ব্যায়াম করবেন। এটাতে প্রায়ই বিরতি পড়ে যায়।
৫. যেকোনো কাজ করার জন্য আপনি শেষ মুহূর্তটিকেই বেছে নেন। সব সময় ভাবেন, করতে যখন হবেই, আগেভাগেই করে ফেলব। কিন্তু আগেভাগে করা হয়ে ওঠে না। প্রতিবার শেষ মুহূর্তেই জিনিসগুলো করা হয়।
৬. আপনি সবার জন্য অনেক করেন। আপনার মনটা খুব ভালো। সবার প্রতি আপনার অনেক আন্তরিকতা। কিন্তু এ
সত্ত্বেও অনেকেই আপনাকে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না।

মিলল? অনেকটাই?
না মিললে আপনি খুবই বিশিষ্ট মানুষ। আর মিলে গেলে বলব, আপনি আমাদের মতোই, আর সবার মতোই। কারণ, বেশির ভাগ মানুষের বেলায় এ রকমটাই হয়।
আপনি কি জানেন, আপনি এসএমএস করেন বুড়ো আঙুল দিয়ে?
আপনি কি জানেন, আপনি জিব দিয়ে নাক স্পর্শ করতে পারেন না?
আপনি এটা এখন চেষ্টা করছেন?
করছেন তো?
হাসছেন? হা হা হা। আপনার নতুন বছর হাসি-আনন্দে কাটুক।
এই লেখা এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। লেখাটা পড়ে আপনি ভাবছেন, এটা কোনো লেখা হলো! লেখার মধ্যে কোনো বার্তা থাকবে না? কাগজের জায়গার দাম আছে না?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা প্রবন্ধ আছে-‘বাজে কথা’। তাতে তিনি বলেছেন, ‘অন্য খরচের চেয়ে বাজে খরচেই মানুষকে যথার্থ চেনা যায়। কারণ, মানুষ ব্যয় করে বাঁধা নিয়ম অনুসারে, অপব্যয় করে নিজের খেয়ালে। যেমন বাজে খরচ, তেমনি বাজে কথা। বাজে কথাতেই মানুষ আপনাকে ধরা দেয়।’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, যে কথায় উপদেশ নেই, যেটা বাজে কথা, সেটাই বেশি মূল্যবান। তিনি উদাহরণ দিয়েছেন, কয়লা দিয়ে যন্ত্র চলে, হীরা দিয়ে তা করা যায় না, তবু হীরাই মূল্যবান।
আজ তাই কোনো কাজের কথা না হয় না-ই হলো। একটুখানি হাসি-ঠাট্টা করলাম। নির্মল হাসিতে ভরে উঠুক আমাদের নতুন বছর-এই প্রার্থনাও কিন্তু করছি।

প্রজন্মনিউজ২৪.কম/এ এ মাসুদ

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ