প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১২:৫২:৪৯
হাসিব মাহমুদঃ আমাদের সবচেয়ে প্রিয় দিবসটি হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। এই দিনে ১৯৭১ সালে আমরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী থেকে যুদ্ধে জয় লাভ করে বিজয় অর্জন করেছি। তাই এদিন আমাদের সকলের অতি প্রিয়, অতি আনন্দের দিন। প্রতি বছর এই দিনটি ঘুরে ঘুরে আমাদের মাঝে হাজির হয়। হাজারও রকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা বিজয় দিবস পালন করি।
বিজয় দিবসের এই দিনে তাই নানা কিছু আমাদের হৃদয়ে ভেসে উঠে। প্রশ্ন জাগে কিসের বিজয়? কেমন করে আমাদের এই বিজয় অর্জিত হলো? কে আমাদের শত্রু? কে আমাদের বন্ধু বা মিত্র? এই দিনটিকে ঘিরে সকল প্রশ্নর জন্ম হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান ও ভারতবর্ষ নামে দুটি দেশের জন্ম হয়। ঐদিন পর্যন্ত বৃটিশ আমাদের শাসন করে।
বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়। দীর্ঘ প্রায় দুই শত বছর ব্রিটিশ বেনিয়া আমাদের ভারতবর্ষকে শাসন-শোষণ করে। ১৯৪৭ সালের পর থেকে পাকিস্তানের অংশ পূর্ব পাকিস্তান যা আজকের বাংলাদেশ নানাভাবে পাকিস্তানী শাসক দল কর্তৃক শোষিত হচ্ছিল। অত্যাচার, অনাচার, জুলুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, বাংলা ভাষার জন্য আমাদের ১৯৪৭ সালের পর আন্দোলন শুরু হয়। প্রথমে এই আন্দোলন ছিল মাতৃভাষার রক্ষার আন্দোলন।
যখন জিন্নাহ বললেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু, তক্ষণি প্রতিবাদ না না, বাংলা ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। ১৯৪৮ সালে জিন্নাহ পূর্ব পাকিস্তান সফরের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার জন্য স্মারকলিপি দেয়। তখন থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন শুরু। ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে সালাম, রফিক, জব্বার, প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করেছেন রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। আজ বিশ্বজুড়ে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস। ঐ দিনের স্মরণে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খান বিরোধী গণঅভ্যুত্থান আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয়। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান পর ৭০ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসে। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা পূর্ব বাংলার মানুষ মনেপ্রাণে গ্রহণ করে। সারা পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠিতা অর্জন করে। কাজেই স্বাভাবিকভাবে বঙ্গবন্ধু সরকার গঠন করে পাকিস্তান শাসন করবেন।
কিন্তু সেনা শাসক ইয়াহিয়া খান তা করতে দিলেন না। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন অব্যাহত রাখলেন। ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ভুট্টোর সঙ্গে আতাত করে ইয়াহিয়া খান পূর্ব বাংলার উপর ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে হত্যা-নির্যাতন শুরু করে দেয়। কিন্তু ঐ দিনের পূর্বে ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে তার অমর ভাষণে জাতিকে নির্দেশনা দিয়ে স্বাধীনতার পথকে সুগম করলেন। তাই ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ আন্দোলনকামী বাংলার মানুষের উপর লেলিয়ে দেয়া পাকিস্তানী বাহিনী এক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তখন থেকে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার যুদ্ধ।
১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের পর থেকে মাত্র ৯ মাসে বাংলার দামাল ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীনতার দুয়ারে নিয়ে উপনীত হয়। মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় আমাদের মুক্তি সংগ্রাম সফলতা লাভ করে। লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে আমরা আমাদের বিজয় পতাকা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হই। তাই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, মুক্তির দিবস। বিজয় দিবস আসলে আমাদের ভাবনা মনের হৃদয়ে উঁকি দিতে থাকে। কেন আমরা যুদ্ধ করেছি?
কি জন্য লক্ষ লক্ষ তরুণ জীবন দিল? চেয়েছি কি? আর আমরা পেয়েছি কি? আমাদের যুদ্ধ, সংগ্রাম, ত্যাগ অনেকগুলো কারণকে নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল। গণতন্ত্রের জন্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধ : ১৯৭০ সালে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পরও পাকিস্তানী বাহিনী গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে স্বৈরশাসন কায়েম করে। তার বিরুদ্ধে ছিল আমাদের প্রতিবাদ, সংগ্রাম এবং সর্ব শেষে যুদ্ধ। গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম।
তার বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা আসে। একটি স্বাধীন দেশের মানচিত্র আমরা লাভ করলাম। গণতন্ত্র মুক্তি পেল। আজ আমাদের দেশ স্বধীন আমাদের স্বাধীন সংসদ রয়েছে। আমাদের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশ পরিচালনা করছেন। আমাদের একটি স্বাধীন সেনাবাহিনী রয়েছে। আমাদের জাতীয় সত্তা আলাদা। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। দেশ আমাদের কর্তৃক স্বাধীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত বাকস্বাধীনতা গণতন্ত্র কি সর্বস্তরে আশা আকাক্সক্ষা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি? বিজয় দিবসে এই সকল ভাবনা আমাদের মনকে বারবার দোলা দেয়।
অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছি। অর্থনেতিকভাবে বিশ্বের দরবারে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব বলেই আমাদের মুক্তি। কিন্তু না আজও এর ব্যবধান অনেক। তখন ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এখনো ৪০ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর, লেখাপড়া জানে না। তাই স্বাধীনতা ৪৬ বছরে এসে আমাদের মনে করে দেয়। আমাদের আরও উন্নত হতে হবে। আরও বেশি অর্থনৈতিক উন্নতি সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে আনতে হবে।
আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিকাশের জন্য। কিন্তু আজ আমাদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ অনেক অনেক দূরে অবস্থান করছে। সমাজের সকল স্তর থেকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের দারুণ অভাব। ১৯৭১ সালে আমরা সকল অন্যায়, অবিচার, মূল্যহীন জীবনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করি। তা পরবর্তীতে মুক্তি সংগ্রামে রূপ নেয়। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেও আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারি নাই।
শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের অনেক পরিবর্তন এসেছে। অকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় দেশে স্থাপিত হয়েছে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাসের হারও বেশ সম্প্রসারিত হয়েছে। পাসের হারও বেশ ভাল। কিন্তু নৈতিক শিক্ষা, মূল্যবোধের শিক্ষা, মনুষ্যত্বের শিক্ষা আমরা দিতে এখনও সক্ষম হয় নাই। বিজয় দিবসে আমাদের মনে এই সকল চিন্তা নানাভাবে ঘোরপাক খাচ্ছে। এই দিনে আমাদেরকে এই সকল বিষয়ে আরও শক্তিশালী হওয়ার দৃঢ়তা শিক্ষা দেয়।
আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে কারিকুলামে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন পরিবর্তন আনতে হবে যাতে করে শিশুকাল থেকে ছাত্রছাত্রীগণ নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হয়ে নিজকে গড়ে তুলতে পারে। শিক্ষা ছাড়া তথা সুশিক্ষা ছাড়া কোনক্রমেই নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চা হবে না। মানুষ সত্যিকার মানুষ হতে পারবে না। সার্টিফিকেট সম্পন্ন কিছু যুবক-যুবতী তৈরি করলে দেশ কখনও মৌলিক শিক্ষা লাভ করতে পারবে না।
শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চা নিজেদের মধ্যে করতে হবে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষকমন্ডলী ছাড়া নৈতিকতা ও মূল্যবোধসম্পন্ন ছাত্রছাত্রী তৈরি হবে না। তাই প্রথমে শিক্ষককে সুশিক্ষক হতে হবে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষকমন্ডলী তৈরির জন্য কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিজয় দিবস আমাদেরকে তাই শিক্ষা দেয় তাই দাবি করে।
বিজয় দিবসে নানা ভাবানা আমাদের মনের মধ্যে এসে পড়ে। ১৯৭১ সালে জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। কোন বিভেদ, অনৈক্য আমাদের মধ্যে ছিল না। রাজনৈতিকভাবে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ স্বাধীনের জন্য যুদ্ধ করেছি। সেই ঐক্যের রাজনীতি আমাদের এখন বড় প্রয়োজন। জাতি আজ প্রায় দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
জাতীয় বড় বড় ইস্যুতে পর্যন্ত আমরা সকল রাজনৈতিক দল এক সুরে কথা বলতে পারছি না। বিগত জাতীয় নির্বাচন সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ হয় নাই বলে দেশে বিদেশে তা গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারে নাই। তাই আগামী নির্বাচন সরকার চাচ্ছেন সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণমূলক স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সকলের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমাদের দেশের চেহারা পাল্টে দেবে। দেশে বিদেশে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়ে যাবে। আমাদের দেশে দেশী বিদেশী বিনিয়োগ ও এখন বৃদ্ধি পাবে। আশা করা যায় আগামী নির্বাচনকে
একটি মডেল হিসাবে সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ গ্রহণ করে জাতিকে সকল কালিমা থেকে মুক্ত করবে। তাই সরকারকে সকলের পূর্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন দিয়ে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কখনও আশা করা যায় না। আজকের বিজয় দিবসে আমাদের প্রাণের দাবি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী জবাবদিহিমূলক সরকার উপহার দেয়া।
আইনের শাসন ও সুবিচার নিশ্চিত করা : আমাদের স্বাধীন বিচার বিভাগ রয়েছে। সরকার বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। এখন বিচার বিভাগের প্রয়োজন তাদের যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার নজির স্থাপন করা। বিচারহীনতাকে বের হয়ে আসা। আইনের শাসন সকলের নিকট সমান ও গ্রহণযোগ্য তা প্রমাণ করার জন্য বিচার বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে। সুবিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আজও সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে ন্যায় বিচার হতে তারা বঞ্চিত। এই অভিযোগ যাতে কেউ করতে না পারে সেই রকম গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে বিচার বিভাগ হতে হবে।
আইনের শাসনকে সহজ ও সহজ লক্ষ্য করতে হবে। বিচার কাজের খরচ অনেক বেশি। সাধারণ একজন নাগরিক ন্যায়বিচার আসায় অধিক খরচের জন্য আদালতে যেতে পারে না। বিশেষ করে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে নানা খরচ অধিক হওয়ার কারণে সাধারণ আয়ের মানুষ মামলা পরিচালনা করতে পারে না। খরচ কমাতে হবে। খরচ কমানোর জন্য সরকারও বিচার বিভাগকে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
দেশে গুম, খুন, হত্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মূল কারণ ন্যায় বিচার, দ্রুত বিচার থেকে মানুষ বঞ্চিত। দ্রুত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারলে সমাজ থেকে গুম, খুন, অবিচার, অত্যাচার অনেক ক্ষেত্রে বেশ হ্রাস পেত। বিজয় দিবসে আমাদের ভাবনা ও ইচ্ছা ন্যায়বিচার, নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচার কার্যকর দেখতে চাই। তবেই আমাদের বিজয় হৃদয় মনে উৎফুল্লতা এনে দেবে ।
লেখক: সংবাদকর্মী
প্রজন্মনিউজ২৪.কম/ফয়সাল
ভারতে নারী ভোটার বাড়ছে, ৫ বছরে ছাপিয়ে যেতে পারে পুরুষদের
প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক
বৃহত্তম ব্ল্যাকহোলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা
এসএসসির ফলাফল ঘোষনার বিষয়ে যা জানালো শিক্ষামন্ত্রনালয়!
বিএসএফের গুলিতে আহত সাবেক ইউপি সদস্য
অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ হবে
আমদানির অনুমতির পর চালের দাম বৃদ্ধি
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার জন্য একমাত্র দায়ী নেতানিয়াহু: এরদোগান
Severity: Notice
Message: Undefined index: category
Filename: blog/details.php
Line Number: 417
Backtrace:
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once