টাঙ্গুয়ারে অন্যরকম পর্যটনের ডাক দিচ্ছে ডাহুক

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর, ২০১৭ ১০:৪২:৫৫

টাঙ্গুয়ারে অন্যরকম পর্যটনের ডাক দিচ্ছে ডাহুক

বর্ষায় সবুজ ফসলের ক্ষেত ভেসে যায় পাহাড়ি ঢলে। এই সময়টায় অভাব সংকট প্রকট হয় টাঙ্গুয়ারে। তবে এই দুর্যোগের পর সামান্য আয়ের মুখ দেখছেন টাঙ্গুয়ারের আশেপাশে কয়েক গ্রামের মানুষ। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বর্ষার বাড়াবাড়ি শেষে টাঙ্গুয়ারের অবারিত জলরাশি ঘেষে দূরের খাসিয়া, জৈন্তা পাহাড়ের নীলচে অবয়ব দেখতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসছে পর্যটকরা।

এই পর্যটনের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করার একটি ভিন্ন ধারার উদ্যোগের নাম ‘ডাহুক’। ‘ডাহুক’ এর অন্যরকম দিকটি তুলে ধরে এর উদ্যোক্তা মাগফি রেজা  বলেন, ‘ডাহুক আমাদের দেশের পর্যটন ব্যবস্থায় একটি টেকসই পরিবর্তনের চেষ্টা। ডাহুকের মাঝিরা শহুরে পর্যটকদের টাঙ্গুয়ারের হিজল-করচসহ নানা গাছ-গুল্ম, পাখি চেনাচ্ছে। তারাই বলে দিচ্ছে রাতের আকাশ ছেঁয়ে থাকা তারাদের নাম, দেখাচ্ছে ছায়াপথ। শুধু হাওরের মাঝিরাই নয়, হাওরের গ্রামগুলোতে পর্যটকদের জন্য খাবার, স্থানীয় সংস্কৃতির বিচিত্র আসরের আয়োজন থাকছে। এতে গ্রামবাসীর সরাসরি অংশগ্রহণ স্থানীয়দের আয়ের উৎসে পরিবর্তন নিয়ে আসছে।’

উদ্যোগের শুরুটা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান,ক্যাডেট কলেজের পাঠ চুকিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পেয়ে নেদারল্যান্ডসে পাড়ি জমান মাগফি রেজা। সেখানে গণমাধ্যম-সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করা এই তরুণ বিশ্বখ্যাত ডিসকভারি নেটওয়ার্কেও কাজ করেছেন প্রায় দেড় বছর। এই কাজ করতে গিয়ে বিদেশের পর্যটন ব্যবস্থা দেখে দেশের পর্যটনখাতে নতুন কিছু করার ইচ্ছা জেঁকে বসতে থাকে তার মনে।

সিমেন্টের হাতি-ঘোড়া-সুইমিং পুল কিংবা ভিড় গিজগিজ সৈকত দেখানো পর্যটনের চেয়ে ভিন্ন কিছু করার ভাবনা শুরু করেন তিনি।

এমন একটি পর্যটন ব্যবস্থা নিয়ে ভাবা শুরু করেন যে ব্যবস্থায় পর্যটন দিয়ে কেবল উদ্যোক্তার পকেট ফুলবে না উপার্জনের উপায় খুঁজে পাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী। পর্যটন কেন্দ্রীক এমন সামাজিক ব্যবসায়ের পরিকল্পনা নিয়ে দেশে আসেন তিনি। নিজের পরিকল্পনার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও তাহিরপুরের সুবিস্তৃত জলরাশি টাঙ্গুয়ার হাওরে।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ